Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১০ August ২০১৫

সরকারি বেসরকারি উদ্যোগের যাত্রা শুরু পর্যটন শিল্পে


প্রকাশন তারিখ : 2015-05-31

যেখানে সুখের জন্য কোন উৎস সৃষ্টির প্রয়োজন হয়না, যখন যেখানে একজন পর্যটক যা করবে, যে মানুষের সাথে মিশবে, তাই তাকে বিস্মিত করবে, তাই পর্যটকদের কাছে আহবান নিয়ত, বিস্ময়ের ভূমিকে আবিষ্কার করে যেখানে সে পাবে হৃদয়ের উষ্ণতা মিশ্রিত ভালবাসা যা সে খুঁজে বেড়িয়েছে চিরন্তন সারাজীবন।  যখন ফিরে যাবে তখন তার সাথে যাবে বিস্ময়কর সব কাহিনী যা সে হৃদয়ের অনুভবে সঙ্গী করে রাখবে সারাজীবন এবং সাদামনের মানুষের বন্ধুতব থাকবে অটুট চিরকাল। এ দেশের নাম, এ বিস্ময় ভূমির নাম - বাংলাদেশ।

অমিত সম্ভাবনাময় এ দেশের পর্যটন শিল্পের বিকাশ তাই সময়ের দাবী।  এ দাবী পূরণে পর্যটকদের চাহিদা মোতাবেক পরিবহন, আবাসন, আপ্যায়ন ও বিনোদনের অনন্য দায়িতব পালন করে আসছে সরকারি বাণিজ্যিক সংস্থা বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন বিগত ৪৩ বছর যাবত।  এরই ধারাবাহিকতায় পর্যটন উন্নয়নের পথিকৃত সংস্থা হিসেবে বেসরকারি উদ্যোক্তাদের পর্যটন শিল্পে বিনিয়োগের সরকারি নীতিমালা অনুসরণে সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে প্রথম উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বাংলাদেশের পর্যটন আকর্ষণের অন্যতম নান্দনিক ঠিকানা বিশে^র দীর্ঘতম নিরবচ্ছিন্ন সমুদ্রসৈকত নগরী কক্সবাজারকে কেন্দ্র করে। সৈকত নগরী কক্সবাজার সারা বছর সমান পর্যটকের সমাগম না থাকলেও বিশেষত সপ্তাহামেত্ম এবং অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত পর্যটকের সংখ্যা লক্ষ ছাড়িয়ে যায়।  এমতাবস্থায়, পর্যাপ্ত মানসম্মত পরিবেশবান্ধব আবাসন এবং বিনোদনের চাহিদা অত্যধিক বিবেচনায় এখানে তারকা মানসম্মত সেবা সুনিশ্চিত করা জরম্নরী।  বর্তমান সরকারের পর্যটন বান্ধব নীতিমালার কারণে কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রূপান্তর, সাবরাং এলাকায় এক্সক্লুসিভ ট্যুরিস্ট জোন নির্মাণ, মেরিন ড্রাইভ ৪ লেনে সম্প্রসারণ এবং ট্রান্স এশিয়ান রেললাইনের আওতায় টেকনাফের ঘুনধুম দিয়ে মিয়ানমার হয়ে পূর্ব চীন পর্যন্ত রেল যোগাযোগ সম্প্রসারণ কার্যক্রম সম্পন্ন হলে দেশী-বিদেশী পর্যটকদের আগমনে কক্সবাজার সর্বমৌসুমে ভরপুর থাকবে, তাই এখানে পরিবহন, আবাসন, আপ্যায়ন ও বিনোদন এক্ষেত্রে আধুনিক সুযোগ গড়ে তোলা একান্ত আবশ্যক।

বর্ণিত প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের হোটেল শৈবাল সংলগ্ন ১৩০ একর জমির উপর  Development of Tourism Report & Entertainment Village at Parjatan Holiday Complex, Cox's Bazar শীর্ষক প্রকল্প হাতে নেয়া হচ্ছে।  ইতোমধ্যে দেশী-বিদেশী প্রতিষ্ঠান মিলিয়ে ৪০টি প্রতিষ্ঠান নিবন্ধন করেছে।  এরমধ্যে সিংগাপুর ভিত্তিক Inter Asia Group Pte. Ltd. প্রসত্মাবিত প্রকল্পের ২৬টি  বীচ ভিলা, ১৬৮টি পুল ভিলা, ২৬টি ওয়াটার ভিলা, বর্তমান শৈবাল হোটেলের পুনঃনির্মাণ, আন্তর্জাতিক মানের ১৮ হোল গফল কোর্স, ক্লাব হাউজ, পাঁচ তারকা হোটেল  টাওয়ার অন্যতম।  উলেস্নখ্য, ইতোমধ্যে এর জন্য সম্ভাব্যতা জরিপ সম্পন্ন ক                     র CCIE অনুমোদন ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নীতিগত অনুমোদন গ্রহণ করা হয়েছে।  এলক্ষ্যে Request for Qualification আহবান করে প্রাপ্ত সম্ভাব্য আগ্রহী বিনিয়োগকারীদের এ বিষয়ে অবহিত করার উদ্দেশ্যে ৩১ মে ২০১৫ তারিখ প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের মেঘনা হলে Pre Application/Pre-bid Meeting আয়োজন করা হয়।

এ সভায় প্রকল্পের বিভিন্ন দিক, প্রকল্প উন্নয়নের ধরণ, পরিবেশ বান্ধবতা সম্পর্কে আগ্রহী সম্ভাব্য উদ্যোক্তাদের অবহিত করা হয়। এ সভায় সম্ভাব্য দেশি-বিদেশি উদ্যোক্তাদের অবহিত করা হয়।  এ সভায় সম্ভাব্য দেশি-বিদেশি উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের যুগম-সচিব ড. মোসাম্মৎ নাজমানারা খানুম, সরকারের পিপিপি কার্যালয়ের প্রধান নির্বাহী সৈয়দ আফসার উদ্দিন আহমেদ, ট্রান্সেকশন এডভাইজার প্রতিষ্ঠান ‘ফিডব্যাক ইনফ্রা (প্রাঃ) লিমিটেড-এর প্রতিনিধি এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন ও পিপিপি কার্যালয়ের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। ফিডব্যাক ইনফ্রা (প্রাঃ) লিমিটেড-এর জনাব অভিলেষ বাবেল, যুগম-প্রধান নির্বাহী প্রসত্মাবনার উপর একটি পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপন করেন। অনুষ্ঠানের সভাপতিতব করেন সরকারের অতিরিক্ত সচিব এবং বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের সম্মানিত চেয়ারম্যান জনাব অপরূপ চৌধুরী, পিএইচ,ডি।

সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের সম্মানিত চেয়ারম্যান জনাব অপরূপ চৌধুরী, পিএইচ,ডি বলেন, পর্যটন গন্তব্য হিসেবে বাংলাদেশ অদূর ভবিষ্যতে দক্ষিণ এশিয়ার একটি উলেস্নখযোগ্য সুদৃঢ় করার প্রয়াশ নিচ্ছে।  এক্ষেত্রে বিশ্বের দীর্ঘতম অবিচ্ছিন্ন সমুদ্রসৈকত নগরী কক্সবাজারকে একটি বিশ^মানের পর্যটন আকর্ষন হিসেবে গড়ে তোলার এ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।  কক্সবাজারকে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছে আরও গ্রহণযোগ্য করার জন্য পর্যটন এলাকার ব্যাপ্তি ইনানী হয়ে টেকনাফ ও সেন্টমার্টিন পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা হবে।  যার ফলে এখানে দক্ষিণ, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পর্যটকদের আগমন বাড়বে, সে সাথে তাদের অবস্থানের ব্যপ্তিকাল সমভাবে বর্ধিত হবে বলে পরিবহন, আবাসন, আপ্যায়ন ও বিনোদনের কেন্দ্রগুলো আয়ের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে এবং দেশ মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে সক্ষম হবে, যা সামাজিক ও বার্ষিক অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব বয়ে নিয়ে আসবে।

এছাড়াও সভায় আগত আগ্রহী উদ্যোক্তাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর প্রদান করা হয়।